শীতকালে স্কিন কেয়ারের কিছু কার্যকরী টিপস
শীতকালে স্কিন কেয়ার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আমার এই পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে। শীতকাল এলেই ড্রাই স্কিন,ত্বক খসখসে, ফেটে যাওয়া সমস্যা চিরকালের আর এটা অবশ্যম্ভাবী।তাই এই সময়ে স্কিন কেয়ায় করা প্রয়োজনীয়।যত্নে শীতকালেও দীপতিশীল ত্বকের ঔজ্বল্য প্রাণবমন্ত থাকা যায়।
প্রখ্যাত কসমেটোলজিস্ট ঋিতিকা ধিংরি, স্কিনকেয়ায় এক্সপার্ট রজত মাথুরের
রেকমেন্ডেশন
পেইজ সূচিপএঃ শীতকালে স্কিন কেয়ারের কিছু কার্যকরী টিপস
- ঘরোয়া উপাদানে উজ্জ্বল ত্বক
- রোজ সানস্ক্রিন
- ওবারনাইট ট্রিটমেন্ট
- পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার
- খুব গরম পানিতে গোসল না করা
- গড়ালির যত্ন
- ঠোঁটের যত্ন
- ন্যাচরাল ময়েশ্চারাইজার
- ব্রণ সমস্যা
- শেষ কথা
ঘরোয়া উপাদানে উজ্জ্বল ত্বক
- ১। মধু ও দুধ ব্যবহারে উজ্জ্বল ত্বক
- ত্বকের যত্নে মধু ও দুধ ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে ময়েশ্চারাইজার হবে। দুধ আমাদের স্কিনে ন্যাচারাল ক্লিনসার এর কাজ করতে সাহায্য করে। মধু ও ত্বক একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এবং সে পেস্ট আপনার ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- ২। অ্যালোভেরা জেল
- অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। সারারাত এলোভেরা জেল ত্বকে লাগিয়ে রাখুন পরদিন সকালে উঠে ফেসওয়াশ করে ধুয়ে ফেলুন, অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে।
- ৩। ত্বকের যত্নে নারকেল তেল
- ত্বকের জন্য নারকেল তেল অনেকটাই উপকারী। রাত্রেবেলা ঘুমানোর সময় নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করে সারা রাত রেখে দিন। নারকেল তেল ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ৪। ত্বকে হলুদ ও বেসনের ব্যবহার
- হলুদ ও ব্যসন একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে পারেন। সে পেস্ট আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তোকে ব্যবহার করার পর কমপক্ষে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। হলুদের হয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের ফাংগাল দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- ৫। শসার রস ব্যবহার
- শসা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। শসার রস তোকে ব্যবহার করে বিষ নিজেকে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের আদ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রোজ সাস্কিন
শীতকাল বলেই সূর্যের কতিখারক ইউ ভি রশ্মি থেকে মুক্ত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর গরম কাল নেই বলে সানস্ক্রিন এড়ানো কোনোও যুক্তি নেই। তাই শীতকালে বেরনোর সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার প্রজনীয়
ওবারনাইট ট্রিটমেন্ট
রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত মুখে, হাতে, পায়ে ক্রিম মাখা জরুরি, শুধু ময়েশ্চারাইজার
নয়, ঘন ক্রিম কারণ স্কিনের কোলা জেনের পূষ্টি, মুখের ড্রাই পাটসের নিরাময়, ভাল
ব্লাড সাকুলেশন, রিংকলসের নিরাময় এমন অনেক উপকারিতা আছে।
পর্যাপ্ত পানি
খাওয়া
শিতকালে প্রদান বদভ্যাস পানি কম খাওয়া যার ফলে ত্বকের
শুষ্কতা বেরে যায় তাই পর্যাপ্ত পরিমানের পানি,ফ্রইট জ্যুস ,স্যুপ খাওয়া উচিত।
খুব গরম পানিতে গোসল না করা
শীতকাল আসলেই আমরা গিজারের দুউলতে গরম পানিতে গোসলের স্বাচ্চন্দ্য বুদ করি কিন্ত
আমাদের অজান্তে ত্বকের ক্রতিহয় এর ফলে শরীরের তেইলাক্ত ভাব মুছে স্কিন রক্ক আর
শুকনো হয়ে যায়।তাই একদম কনকনে টাণ্ডা পানিতে না সাবাভিক তাপমাত্রাতেই গোসল করা
ভাল।
গোড়ালির যত্ন
শীতকালপ অযত্ন করলে গোড়ালি ফাটবেই তাই গোড়ালির যত্নে ১০০ গ্রাম নারকেল তেল, ৫০০ গ্রাম কর্পূর,২০ গ্রাম প্যারাফিন মোম একসঙ্গে গলিয়ে কৌটোয় রেখে দিন। প্রতি রাতে পা ভাল করে ধুয়ে লাগান। সারা শীত ব্যবহার করতে পারবেন।
ঠোঁটের যত্ন
শীতের শুরুতেই ভালু মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল, গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের
চার পাশে লাগাতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাখন,গাওয়া ঘি অথবা নারিকেল তেল প্রতিদিন
ঠোঁটে লাগিয়ে মাসাজ করুন।ম্যাজিকের মত কাজ দিবে।
ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার
নারকেল তেল ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল,দইয়ের ঘোল ও শশা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাউজার
হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।ময়েশ্চারাইজড করে করে তোলার জন্য পছন্দ মত ফেসমাক্স
প্রয়োগ করতে পারেন।
শরীরর তুলনায় মুখের ত্বকে কম তেলগ্রনহি
থাকে। তাই ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়। ল্যানোলিন,শিরা
বাটা,পেট্রোলিয়াম জেল,হায়ালুরোকিন অ্যাসিড-যুক্ত ময়েশ্চারাইজারগুলি এই আবহাওয়ায়
ব্যবহার করুন।
ব্রণ সমস্যা
শীতকাল মানেই ব্রণ হবেনা এমন কোনো মানে নেই বরং অনেকেই শীতকালে ব্রণের সমস্যার
সম্মুখীন হন। এই সমস্যার সমাধানের অ্যালোভেরা খুব উপকারি কারণ ব্যাকটিরিয়াম যম।
এছাড়া পাকা পেঁপের রস অ্যান্টি অক্সিজেন্টেসের কারণে প্রচলিত পদ্ধতি।
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি এ সময় শরীরের যত্ন দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
অনেকে আছে শীতের সময় গোসল দিতে চায় না, এটি ভালো অভ্যাস নয়। অনেকে আবার গরম
পানি দিয়ে গোসল দেয়। এতে ত্বক আরও শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই কুসুম গরম পানি
দিয়ে গোসল করবেন। শীতের সময় ত্বকের বেশি করে যত্ন নিবেন। আপনার একটু যত্নই পারে
আপনার ত্বকেকে সফট ও হেলদি রাখতে।
শেষ কথা
আমাদের ত্বক যেমনি হক না কেন শীতকালে যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্ন নেওয়া খুব
গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের
কারণ শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের
যত্ন নিতে হবে এবংত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে হবে।
সিপা আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন