পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয়
পিরয়ড চলাকালীন অসহ্য পেট ব্যাথা, মাঝা ব্যআথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো, পিরিয়ড হয় এমন ব্যক্তি জানে যে পিরিয়ডের সময় কতটা অস্বস্তি লাগে। অনেকের আবার প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা হয়। তাই তারা পিরিয়ডের মোকাবেলা করার জন্য ব্যাথানাশক, হট ওয়াটার ব্যাগ কয়েক দিনের জন্য বিশ্রাম নেয়।
পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে হলে আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগসহকারে পড়তে হবে। আমরা অনেকেই পিরিয়ডের সময় অনেক ব্যাথা অনুভব করে থাকি আর সেই ব্যাথা দূর করার জন্য অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে সে উপাদানের মধ্যে একটি উন্নত উপাদান হলো আনারস। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয় তার সম্পর্কে।পেইজ সূচিপত্রঃ পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় কি খাবেন
- পিরিয়ডের সময় কি খাবেন না
- পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়
- লেখক এর শেষ কথা
পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় প্রত্যেক নারীর জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং সময়। এই সময় অনেকে আবার শারীরিক সমস্যায় পড়ে যায়। যেমন পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো, অস্বস্তি, এবং এই সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কারো কথাই শুনতে ভালো লাগে না।
- ভালো খারাপ যে যেটা বলুক না কেন তখন নিজের কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়। সেই সময় অস্বস্তি দূর করার জন্য আমাদের কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে কি অন্যতম হলো আনারস। পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে আমাদের শরীর অনেক সুস্থ মনে হয়।
- কারন আনারস ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ। এবং পিরিয়ডের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন 'সি' রক্তনালীর নালীকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। এবং মাসিকের বাড়ি রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
- এবং মাসিক চক্রের সময় মুড সুইং স্টং থাকা খুব স্বাভাবিক এটা হরমোনের কারণে দেখা যেতে পারে। এর জন্য আনারস একটি কার্যকরী উপাদান। কারণ আনারস আপনার মেজাজ উন্নত রাখতে সাহায্য করে।
- অনেকের পিরিয়ডের সময় পেট ফাঁপা হয়ে থাকে কিংবা ফুলে থাকে। এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হজম শক্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে আনারস। এছাড়া আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের সময় কি খাবেন
- আনারসঃ পিরিয়ডের সময় আনারস খাওয়া খুব জরুরী। যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না তারা আনারস খেলে এই সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে। এবং নিয়মিত পিরিয়ড হবে।
- পিরিয়ডের সময় পানি পানঃ পিরিয়ডের সময় দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ পিরিয়ডের সময় রক্তপাতের সাথে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে আসে। এই সময় শরীরের হাইড্রোটেড রাখা খুব জরুরী।
- পিরিয়ডের সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ পিরিয়ডের সময় আমাদের শরীরের আয়রনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এই সমস্যাটি আয়রনের ঘাটতির ফলে শরীর ব্যাথা, অস্বস্তি, মাথা ব্যথার করার মত সমস্যা দেখা দেয়। তাই পিরিয়ডের সময় আয়রন জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত। আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, কচুশাক, খেজুর, পাকা তেঁতুল আমড়া ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- পানি জাতীয় ফলঃ পিরিয়ডের সময় আমাদের পানি জাতীয় ফল খাওয়া উচিত। যেমন তরমুজ, শসা, আপেল হাইড্রেটেড থাকার জন্য খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এ সময় ভিটামিন 'সি' জাতীয় ফল খাওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরী। শরীরের আয়রনের দূষণ ও কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন 'সি' জরুরী।
- আনারস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' থাকে। পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে আপনার শরীর ও মেজাজ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা একটি পুষ্টি জাতীয় খাবার। কলাতে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি আছে, তাই পিরিয়ডের সময় কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
- পিরিয়ডের সময় আদাঃ পিরিয়ডের সময় আপনি আদা দিয়ে এক কাপ চা খেলে আপনার বমি বমি ভাব আর মাথা ঘুরানোর মতো সময় দূর হয়ে যেতে পারে। আদা পরিমাণ মতো খাবেন। বেশি আদায খেলে আপনার পেট ব্যথা হতে পারে।
- ডার্ক চকলেটঃ পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকলেট খেলে শরীর এবং মেজাজ ঠান্ডা হয়ে থাকে। পিরিয়ডের সময় শরীর আয়রন দূর করতে ডার্ক চকলেট বেশ ভালো।
পিরিয়ডের সময় কি খাবেন না
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এবং কোমল
পানি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকবেন। যেমন, চা-কপি। এবং তেল জাতীয় খাবার
থেকে বিরত থাকবেন যেমন বাজা পুরা।
মনে রাখবেন পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য যে খাবার ভালো তার উপর ভিত্তি করে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়
লেখক এর শেষ কথা
পিরিয়ডের সময় মেয়েদের কিছু সতর্ক হয়ে চলা উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
খাবার খাওয়া উচিত। এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো যাতে করে আপনার
শরীর স্বস্তি থাকে।
পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খেলে তেমন বেশি একটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু
আপনার শরীর অস্বস্তি এবং ব্যাথার কারণ হতে পারে ঠান্ডা পানি। তাই
পিরিয়ডের সময় হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সিপা আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন