তেঁতুলের উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
তেঁতুলের উপকারিতা গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তেতুল কম বেশি সবাই পছন্দ করেন। তেতুলের উপকারিতা গর্ভাবস্থায় তেতুল খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আমারে পুরা টিকিট সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমার পুরো আর্টিকেলটি পড়েন। তাহলে তেতুলের উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় তেতুল খেলে কতটুকো উপকার পাওয়া যায়, এই সকল বিষয়ে ধারণা পেয়ে যাবেন।পোস্ট সূচিপত্রঃ তেঁতুলের উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা
- তেঁতুলের উপকারিতা
- তেঁতুলের পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আমরা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় তা জানুন
- গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি ও ফল খাওয়া যাবেনা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
তেঁতুলের উপকারিতা
তেঁতুল পছন্দ করো না এমন মানুষ বুদায় কম পাওয়া যাবে। তেতুল কম বেশি সবাই পছন্দ করে বিশেষ করে মেয়েদের খাবারের তালিকা উপরের দিকে থাকে তেঁতুল। অনেকে মনে করে তেঁতুল খেলে ক্ষতি করে শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুয়া কথা। তেতুলে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। কাঁচা কিংবা পাকা এবং তেঁতুলের আচার সবই উপকারী। আর দেরি না করে জেনে আসি তেঁতুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-
- তেতুল হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ পেট ব্যাথা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য তেঁতুলের সাহায্য নিন। হেতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, এবং পটাশিয়াম আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তেতুল পাতায় এখনো আয়ুর্বেদে ডায়রিয়া সারাতে ব্যবহার হয়। তেতুলের গাছের চাল এবং শিকর পেটের ভেতর দূর করায় ব্যবহার করা হয়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ তেঁতুলের বিচি সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা কমিয়ে রাখে।রক্তের চিনির মাত্রা ঠিক রাখি তেঁতুল। তেতুলে রয়েছে এক ধরনের এনজাইম যার নাম 'alpha- amylase' এটা রক্তের চিনির মাত্রা কমিয়ে রাখে।
- ত্বক উজ্জ্বল করেঃ তেতুলে টাকা ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। তেতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বককে অনেকটাই সুরক্ষা দেয়। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটাই বেড়ে যায়।
- ওজন কমায়ঃ তেতুলে রয়েছে উচ্চমাত্রা ফাইবার, আবার একই সঙ্গে সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি। গবেষণায় জানা গেছে প্রতিদিন তেতুল খেলে ওজন কমে রাখা যায়।
- ক্যান্সারে রোধ করেঃ তেতুলে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।
- লিভার ভালো রাখেঃ তেতুল আমাদের লিভার কেউ ভালো রাখে। পরীক্ষা করে যানা গেছে নিয়মিত তেঁতুল পাতা ব্যবহার করলে ড্যামেজ হয়ে যাওয়া লিভার সেরে ওঠে।
- সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে তেঁতুলঃ তেঁতুল এলার্জি প্রতিরোধ করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন 'সি' শরীরের ইউনিটি বাড়ার।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ
তেতুলের প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। তেতুল মূলত টক ফল। তেতুল বসন্তকালের ফল হলেও এটা সারা বছরই পাওয়া যায়। এটা বিভিন্ন রোগের উপকারে আসে। চলুন জেনে আসি সম্পর্কে।
- তেতুলে অন্যান্য ফুলের চেয়ে আয়রনের পরিমাণ ৫ থেকে ২০ গুন বেশি।
- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৫ থেকে ১৭ গুন বেশি।
- ১০০ গ্রাম পাকা তেতুলে মোট খনিজের পদার্থ ২.৯ গ্রাম
- খাদ্য-শক্তি ২৮৩ কিলোক্যালরি
- আমিষ ৩.১ গ্রাম
- চর্বি ০.১ গ্রাম
- শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম
- আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম
- ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ গ্রাম
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আপনি যদিও গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার পুরো আর্টিকেল পড়ুন। এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
- তেতুলে আয়রনের ভরপুর যা একজন গর্ভবতী মায়ের আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। যার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত উৎপাদিত হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের উচিত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি তেঁতুল রাখা উচিত।
- তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- অনেক গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব মাথা ঘুরানো সমস্যা হতে পারে সে ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় তেতুল রাখতে পারেন।
- তেঁতুল হজম শক্তি বজায় রাখে এবং ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- তেঁতুলে থাকা ফ্ল্যাভোনইয়েড যা গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
- অনেকের গর্ভকালীন সময়ে সর্দি কাশি দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে তেতুল খেতে পারেন এতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা শরীরের ইউনিটি বাড়ায়।
গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আমড়া তে রয়েছে ভিটামিন সি এবং নানান উপাদান। এটি টক মিষ্টি এবং খুব সুস্বাদু এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। আমড়া পছন্দ করেনা এমন লোক বোধয় পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং গর্ভের শিশুর জন্য অনেক উপকারী। চলনা আর দেরি না করে গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার সম্পর্কে জেনে আসি।
গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আমড়াই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। আমড়া হজম শক্তির টিক রাখে। গর্ভাবস্থায় আমরা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে আমড়া। আমড়া মুখের রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে।
গর্ভবতী মায়েদের আয়রন ট্যাবলেট এর পাশাপাশি আমরা খাওয়া উচিত কারণ আমাদের প্রচুর আয়রন থাকে। যার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েদের মুখের রুচি বাড়াতে আমড়া খেতে পারেন। আপনার গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ রাখে আমড়া ফল।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় তা জানুন
তেতুলে অতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকার কারণে ও ব্রণের কুশ নষ্ট করে দিতে পারে এই তেঁতুল। তাই যে সব গর্ভবতী মায়েদের তেতুল খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনিও আপনার গর্বের সন্তান দুদিনই সুস্থ থাকবেন।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি ও ফল খাওয়া যাবেনা
গর্ভধারণের সময় একজন নারীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় সব দিক থেকেই সতর্ক থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন তাহলে দেরি না করে সেই গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি ফল খাওয়া যাবে না সেই সম্পর্কে জেনে আসি।
সবজিঃ সবজি ও ফল কোনটাই খোসা সছাড়িয়ে কিংবা না ধুয়ে খাওয়া যাবে না। কার এতে অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। হতে পারে পোষল কাটার সময়, বা কোথাও বিক্রি করার সময় এটা দূষিত হতে পারে। সেজন্য অবশ্যই সবজি দুয়ে খেতে হবে।
ফলঃ কাঁচা পেঁপে, আনারস, আঙ্গুর, তরমুজ, গর্ভাবস্থায় এ সমস্ত ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি আপনার গর্ভে সন্তান সুস্থ থাকবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
হজম শক্তি বাড়াতে তেতুল খেতে পারেন।
সিপা আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন