জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

  

আজকে আমি জবা পাতা উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। যারা জবা পাতা ও ফুলের সম্পর্কে জানতে চান তারা এই পোস্টটি  মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতাজবা মূলত মালভেশি পরিবারের হিবশিক উপজাতির একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। জবা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চলুন তাহলে শুরু করা যাক জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে  

পেইজ সূচিপত্রঃ জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

  • জবা পাতার উপকারিতা 
  • জবা পাতার অপকারিতা
  • জবা ফুলের তেল বানানোর উপায়
  • জবা পাতার রস খেলে কি হয়
  • জবা পাতার বৈশিষ্ট্য
  • লেকখের শেষ কথা 

জবা পাতার উপকারিতা

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ছোটবেলায় আমরা অনেক খেলাধুলা করেছি জবার ফুল ও পাতা দিয়ে এগোলর যে এত উপকারিতা আমরা আগে জানতাম না। যখন বড় হলাম তখন বুঝতে পারলাম যে জবার উপকারিতা কতটুকু । চলুন তাহলে জবা ফুলের ও পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক 

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

  • চুলের যত্নে জবা পাতার উপকার
  • চুল কচকুচে কালো মোটা ও ঘন করতে জবা পাতার উপকারিতা রয়েছেয়। অ্যাভেরাতে  যেমন চুল অনেক লম্বা হয় তেমনি জবা ফুলের সাহায্যে চুলে পুষ্টি পায় এবং বাইরে রোদ থেকে চুলকে ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা করে। আপনি চাইলে জবার তেল চুল লাগাতে পারেন চুলের জন্য জবা অনেক উপকারী।  
  • জবা তেল চুলে ইউজ করলে অকালে চুল পাকে না। এর পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করে। জবার পাপড়ি  ময়েশ্চারাইজার করার কাজ করে। 
  • ত্বকের যত্নে উপকারিতা
  • জবা ফুল, চুলের যত্নের পাশাপাশি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ব্রণ, সান-ট্যাঁন এবং ডাক সার্কেল থেকে মুক্তি পেতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ত্বকের কালচে ভাপ এবং চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে জবা। 
  • জবা, বোটক্স উদ্ভিদ নামেও পরিচিত। কারণ এটি প্রাকৃতিক বোটক্স প্রভাব রয়েছে। তক উ চুলের যত্নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জবা ফুল ও পাতার আরো অনেক গুণ রয়েছে। 
  • ওজন কমাতে সহায়ক
  •  ওজন কমাতে জবা উপকারী জবা সেবনে খুদা কমে যায়।  গরম পানিতে জবা পাতা চা করে খেতে  পারেন এটি আপনাকে শক্তি দেয় এবং ক্ষুধা লাগে না, হজমের উন্নতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। 
  • কিডনি সমস্যার উপকারি
  • জবা ফুল কিডনির জন্য অনেক উপকারী কিডনি বা পিওথলিতে পাথর অপারেশনের একটি কার্যকর চিকিৎসা। জবা ফুল সেবন করলে কিডনির পাথর গোলে বেরিয়ে আসে।
  • অতিরিক্ত ঋতুস্রাবে
  • অনেক অনেক মানুষ আছে যাদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। জবা ফুল ৫ -৭ টি সামান্য গাওয়া দিয়ে ভেঙে খেলে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বন্ধ হবে। এছাড়া পঞ্চমুখী জবার দুটি কুড়ি আতপ চাল দুয়া জলে ওষুধ খেলে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
  • আনিয়মিত স্রাবে

অনেক মেয়ে আছে যাদের মাসিক হলে ১ থেকে দের দিনের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেকের টিকমত হয় না। সেজন্য আপনি জবার পাপড়ি, দারচিনি ৫০০ মিলিগ্রাম একসাথে পেস্ট করে ওষুধ হিসেবে খেতে পারেন তাহলে আপনার স্রাব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। 

জবা পাতার অপকারিতা

সব জিনিসেরই উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি থাকে। তেমনি জবার ক্ষেত্রেও তাই। ইতিমধ্যে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি জবা পাতার উপকারিতা এখন আপনাদের সাথে জবাবতার অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব

  • যাদের লোব ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা এ পাতার রস খাওয়ার আগে বিশেষ করে সচেতন হতে হবে।
  • যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা জবা পাতার রস সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় জবা পাতার রস সেবন করলে বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • মাথা ঘোড়াতে পারে যেহেতু ব্লাড প্রেসার কমে দেয় তাই মাথা ঘোরাতে পারে। একটা স্বাভাবিক ব্যাপার
  • জবাব পাতার রস খুব ঠান্ডা, তাই ফুসফুসের সংক্রমণ  বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করার আগে ভালো করে সচেতন হতে হবে। তা যদি ভেসজ উদ্ভিদ হয়। তাহলে আরেকটু বেশি সচেতন হওয়া উচিত। 

জবা ফুলের তেল বানানোর উপকারিতা

আমাদের হাতের কাছে অনেক ধরনের উপদান রয়েছে,  যা আমাদের চুলের জন্য প্রাকৃতিক ভাবে খুব উপকারী। আরশিয়া উপাদানগুলো মিশিয়ে যদি হেয়ার অয়েল বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর হবে। আর তাই জবা ফুলের তেল পানি ব্যবহার করতে পারলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তেল বাড়ানোর পুষ্টিকরুণ অনেক বেড়ে যায়। 

চলুন তাহলে জেনে নেই জবা ফুলের তেল কি করে বানাবেন

তেল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপায় সমূহ হলো-

  • মেথি দানা
  • কালো জিরা
  • জবা ফুল
  •  ভূঙ্গ রাজ বা কেশতি পাতা 
  • নারকেল তেল 

জবা ফুল দিয়ে তেল বানানোর পদ্ধতি শিখে যান ধাপে ধাপ-

একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ মেথি দানা নিন। আর ২ টেবিল চামচ কালোজিরা নিন।  ২-৩ টে জবা ফুল ভালো করে ধুয়ে আলাদা করে রাখুন। এদিকে এক মুঠো কিশতি পাতাও ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার পরবর্তী ধাপের দিকে যেতে হবে।

  • একটি প্যানে তিন থেকে চার টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন।  তারপর হালকা আঁচে গরম নিন।  ধীরে ধীরে তেল গরম হতে দিন। 
  • এই সময় মেথি দানা মিশে নিন এবং নাড়তে থাকুন। 
  • এরপর মাজারি আঁচে  তেলটি ফুটতে দিন।  বেশ কিছুক্ষণ পর তেলের রং বদলে যাবে। 
  • তিন থেকে চার মিনিট ফোটানোর পরে আঁচ বন্ধ করে তেল নামিয়ে নিন।  তারপর ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • সুতি কাপড় দিয়ে তেলটি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে তারপর কাঁচের বয়ামে তেলটি সংরক্ষণ করুন। 

তেল ব্যবহারের নিয়মঃ  গোসল করার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে এই তিনটি চুলে ভালোভাবে মেসেজ করে নিন।  সে ক্ষেত্রে হাতের পরিমাণ মতো তেল নিয়ে চুল ও চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। হাতের আঙ্গুলে চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করুন। তারপরে গোসলের এক ঘন্টা আগে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

জবা পাতার রস খেলে কি হয়

জবা একটি ছোট্ট আকৃতির গাছ। তবে জবার ফুল ও পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে জানলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা তাকায়, জবার ব্যবহার করতে হবে সঠিক পরিমাণে। জবা আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে উপকার বয়ে আনতে পারে শরীরে যে কোন সমস্যা দূর করতে পারে সহজে।

জবা ফুল ও পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারলে, ডায়াবেটিস,  উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির পাথর নিরাময়, ওজন কমানোর ইত্যাদি সম্ভব হয়। আর সেজন্য জবা ফুলের রস খেতে পারেন তাহলে অনেক সুফল পাবেন। জবা পাতা পানিতে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনাকে শক্তি দেয় এবং ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

জবা পাতার বৈশিষ্ট্য

জবা ফুল মালভেশি পরিবারে হিসেবকি  উপজাতির একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি চেনা হেবিস্কাব, চায়না রোজ, হাওয়ায় হিবিস্কাব, রোজ ম্যালো, নামে পরিচিত। সাধারণ ইংরেজিতে একে হিবিস্কাস নামে অভিহিত করা হয়। জবা গাছের ফুল, পাতা সবই ঔষধি সমৃদ্ধ। তবে জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা তাকায়, এর ব্যবহার সঠিক নিয়মে করতে হবে। 

জবা পাতার বৈশিষ্ট্য সমূহ হল-

  •  জবা একটি কুপ যার বহিদ ছোট গাছ
  • জবা একটি ঝোপঝাড় চিরহরিৎ গুল্ম ছোট গাছ। 
  • এই গাছ লম্বা ও ছড়ায় ২.৫ থেকে ৫ মিটার এবং ১.৫ থেকে ৩ মিটার হয়ে থাকে।
  • জবা গাছ একটি শাখাযুক্ত প্রধান মূল থাকে।এর কান্ড বায়বীয়, খাঁড়া, সবুজ, নলাকার এবং শাখাযুক্ত। জবার পাতাগুলির চকচকে ও ফুলগুলি উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয়ে থাকে।
  •  জবা ফুলের ব্যাস ১০ সেন্টিমিটার বা ৪ ইঞ্চি হয়।
  •  জবা ফুল মূলত গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে ফুটে। 
  •  ফুলের জবা ফুলের বিভিন্ন রঙ ও বৈচিত্র দেখা যায়।

লেখকের শেষ কথাঃ জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, ইতিপূর্বে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি যে, জবা আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাকে। জবা পাতার উপকারিতা ও চুলের যত্নে,  কিডনির সমস্যা, ওজন কমাতে,  উজ্জ্বল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ইত্যাদি সাহায্য করে। তাই জবাব পাতার ব্যবহার করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

 তবে জবা পাতা উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে,  যাদের এলার্জি হয়।  ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যায় মাথা ঘুরার মত সমস্যা হয় তারা জবা পাতা ব্যবহার করতে হবে সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক নিয়মে। আমারে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুত্ব সাথে শেয়ার করবেন।  এবং জবা ফুল তৈরি করতে কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন।         

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সিপা আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন